পরিকল্পনা
যে কোন কাজের শুরুতে চাই পরিকল্পনা। পরিকল্পনা ক্ষেত্রে আর কোন সুযোগ কোথাও দেয়া নেই। তাই ই-কমার্স বিজনেস শুরুর ক্ষেত্রেও চাই সুন্দর এবং গোছালো একটি পরিকল্পনা। বিজনেসের মূলধন থেকে শুরু করে লভ্যাংশ কিভাবে খরচ করবেন, সবই এই পরিকল্পনার অন্তর্ভুক্ত। তাই আপনার বিজনেসের ধরন এবং আকার অনুযায়ী সুন্দর একটি পরিকল্পনা করে নিতে হবে ই-কমার্স বিজনেস শুরুর পূর্বে। আর পরিকল্পনার ক্ষেত্রে কখনই জটিলতা রাখবেন না। বিজনেসের সার্বিক পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে পরিকল্পনা তৈরি করুন।
চাহিদা এবং পন্য
ই-কমার্স বিজনেস করতে এসে অনেকেই যে ভুলটা করে, কাস্টমারের চাহিদা থেকে পন্যের প্রতি বেশি নজর দিয়ে থাকে। আর তার ফল হিসেবেও এই বিজনেসে বেশিদিন টিকে থাকতে পারে না। তাই ই-কমার্স বিজনেসে পন্য নির্বাচনের ক্ষেত্রে কাস্টমারের চাহিদার দিকে বেশি নজর দিতে হবে। আপনি যে পন্য বা যে ধরনের পন্য নিয়ে বিজনেস শুরু করতে চাচ্ছেন, কাস্টমারের কাছে সেটির চাহিদা কেমন এই বিষয়টা আগে লক্ষ্য করুন। আর সব সময় কাস্টমারের চাহিদার ভিত্তিতে ই-কমার্স বিজনেসে পন্য নির্বাচন করুন। মনে রাখবেন আপনার বিজনেসের পন্যের প্রতি আকর্ষিত হয়ে কাস্টমার তৈরি হবে।
ওয়েবসাইট
ই-কমার্স বিজনেসের অত্যান্ত গুরুত্বপুর্ন বিষয় হচ্ছে ওয়েবসাইট। কারন ওয়েবসাইটের মাধ্যমেই কস্টমার আপনার বিজনেসের সাথে যুক্ত হবে। তাই ওয়েবসাইট তৈরির ক্ষেত্রে অবশ্যই লক্ষ্য রাখতে হবে যেন, ওয়েবসাইটটির ডিজাইন অনেক সুন্দর এবং ইউজার ফ্রেন্ডলি হয়। আর সব সময় চেষ্টা করুন আপনার বিজনেসের পণ্যের উপর ভিত্তি করে ওয়েবসাইটটির ডিজাইন তৈরি করতে। ওয়েবসাইটের ডিজাইনে এবং কালারে মার্জিত ভাব রাখুন, যাতে করে একজন ভিজিটর সহজেই আকর্ষিত হয় এবং ব্রাউজিং এর ক্ষেত্রে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। মনে রাখবেন আপনার ওয়েবসাইটের একজন ভিজিটরই হবে আপনার বিজনেসের কাস্টমার।
মার্কেটিং
আপনি হাজার ভালো এবং আকর্ষণীয় পন্য নিয়ে বিজনেস শুরু করলেও সেটি যদি কাস্টমারদের কাছে অজানা থাকে, তাহলে কখনই আপনার পন্য বিক্রি হবে না এবং বিজনেসও আগাবে না। এই বিজনেসের মূল প্রান সঞ্চারের ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখে মার্কেটিং। মনে রাখবেন এই বিজনেসের আপনার অনেক প্রতিদ্বন্দ্বী রয়েছে, আর বিজনেসটি অনলাইন ভিত্তিও হওয়ায় মার্কেটিং এর উপর ভিত্তি করেই কাস্টমার তৈরি হবে। তাই আপনার ই-কমার্স বিজনেসটির স্বতঃস্ফূর্ত মার্কেটিং করতে হবে, পন্য গুলোর সুন্দর রিভিও তৈরি করতে হবে এবং পণ্যের গুনাগুন সম্পর্কে কাস্টমারদেরকে অবহিত করতে হবে। বিভিন্ন মাধ্যমে আপনার বিজনেসটির বিজ্ঞানপন আকর্ষণীয় ভাবে কাস্টমারদের কাছে উপস্থাপন করতে হবে। ই-কমার্স বিজনেসের মার্কেটিং এর জন্য বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া গুলো সবচেয়ে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
সার্ভিস এবং সাপোর্ট
ই-কমার্স বিজনেসে কাস্টমার সার্ভিস এবং সাপোর্ট খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কাস্টমারদের অর্ডার সঠিকভাবে গ্রহন করতে হবে এবং নিদিষ্ট সময়ের মধ্যে পন্যের ডেলিভারি নিশ্চিত করতে হবে। মুল্য পরিশোধ করার ক্ষেত্রে কাস্টমারদের যেন কোন সমস্যা না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। কাস্টমারদের যে কোন সমস্যার সমাধান তাৎক্ষণিকভাবে করতে হবে। মাঝে মাঝে পন্যের উপর ছাড় এবং বিভিন্ন অফারের ব্যবস্থা করতে হবে। মনে রাখবেন শুধু মার্কেটিং না সুন্দর কাস্টমার সার্ভিস এবং সাপোর্টের ফলে একজন কাস্টমার থেকে হাজার কাস্টমার তৈরি হবে। সার্ভিস এবং সাপোর্টের উপর ভিত্তি করে আপনার বিজনেসটি কাস্টমারদের কাছে বিশ্বাসযোগ্যতা পাবে এবং বিজনেস বৃহৎ পরিসরে সম্প্রসারিত হবে।
0 comments:
Post a Comment