ফেসবুক ভেরিফায়েড পেজের কথা প্রায়ই শোনা যায়৷ এই ফেসবুক ভেরিফিকেশন নিশ্চিত করে দেয়, যাঁর নামে ফেসবুক ফ্যানপেজ রয়েছে, পেজটি আসলে তাঁরই৷ ফেসবুক ভেরিফিকেশন আসলে কী? ভেরিফায়েড করানোর উপায়ই বা কী?
নিয়মিত যোগাযোগের জন্য ফেসবুক প্রোফাইল ব্যবহার করেন-এমন ব্যবহারকারীর সংখ্যাও প্রচুর৷ আবার বিখ্যাত লোকেরা যোগাযোগের জন্য ব্যক্তিগত প্রোফাইলের চেয়ে ফেসবুক পেজ ব্যবহারে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন৷ প্রতিষ্ঠান, ব্র্যান্ড, অনুষ্ঠান ও কার্যক্রম সম্পর্কে জানানোর জন্যও ফেসবুক পেজ তৈরি করা হয়ে থাকে৷
ফেসবুক সবার জন্য উন্মুক্ত, যে কেউ ইচ্ছা করলেই তাঁর নিজের প্রোফাইল ও পেজ তৈরি করতে পারেন৷ একই সঙ্গে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের পরিচয়পত্র উল্লেখ করার প্রয়োজনীয়তা নেই বলে একজন ব্যক্তি অন্য কারও নামেও অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে পারেন৷ এমনকি অন্য প্রতিষ্ঠানের নামে ফেসবুক পেজ তৈরি করে নিয়মিত হালনাগাদও করা যায়৷ বিখ্যাত প্রতিষ্ঠান অথবা ব্যক্তির নামে এমন ভুয়া অ্যাকাউন্ট বা পেজ থেকে প্রচারণা চালানো হলে ওই ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের জন্য সেটি ক্ষতির কারণও হতে পারে৷ মিথ্যা বা ফেক অ্যাকাউন্ট থেকে মূল অ্যাকাউন্ট আলাদা করে দেখানোর জন্য ফেসবুকের একটি নিজস্ব ভেরিফিকেশন পদ্ধতি রয়েছে৷ এই ভেরিফিকেশনে উত্তীর্ণ পাতাগুলোর নামের পাশে নীল রঙের একটি টিক চিহ্ন থাকে৷ পেজের পাশাপাশি ফেসবুক প্রোফাইলও একইভাবে ভেরিফায়েড হতে পারে৷ সাধারণত তারকাখ্যাতি-সম্পন্ন ব্যক্তি, সেলিব্রিটি, সাংবাদিক, সরকারি কর্মকর্তা, জনপ্রিয় প্রতিষ্ঠান ও ব্র্যান্ডের পাতাগুলো ভেরিফাই করে থাকে ফেসবুক৷
ফেসবুক প্রোফাইল বা পেজ ভেরিফাই করার জন্য নির্দিষ্ট কোনো নিয়ম উল্লেখ করা নেই; আবার ফেসবুকের কাছে ভেরিফিকেশনের জন্য সরাসরি আবেদন করার জন্যও কোনো যোগাযোগের পদ্ধতি নেই৷ ফেসবুকের পক্ষ থেকে বলা হয়, তারা প্রোফাইল ও পেজে যে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের উল্লেখ রয়েছে, সেটি সত্যিই ওই ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কি না, সেটি নিশ্চিত করার জন্যই এই ভেরিফিকেশন৷ ফেসবুক পর্যায়ক্রমে নির্ধারিত বিষয়ের পাতাগুলো ভেরিফিকেশনের কাজ করছে৷
সাদা–নীল টিক চিহ্ন পেতে যে পদ্ধতিগুলো প্রচলিত—
l ফেসবুক প্রোফাইল বা পেজে অফিশিয়াল ওয়েবসাইট যোগ করা এবং ওয়েবসাইটে প্রোফাইল বা পেজের লিংক রাখা৷
l প্রোফাইেল অফিশিয়াল ওয়েবসাইটের ডোমেইনের ই-মেইল ঠিকানা যোগ করা, ই-মেইল ভেরিফাই করা৷
l পেজের প্রশাসক বা অ্যাডমিন হলে তার অফিশিয়াল ওয়েবসাইটের ডোমেইনের ই-মেইল ফেসবুকে যুক্ত রাখা৷
l ‘অ্যাবাউট বা পরিচিতি’ অংশটি সম্পূর্ণভাবে পূরণ করা৷
এই ধাপগুলো অনুসরণ করার সঙ্গে সঙ্গেই যে প্রোফাইল বা পেজে ভেরিফায়েড হয়ে যাবে, এমন নয়৷ কিন্তু এই তথ্যগুলো দিলে অন্যান্য সাধারণ ব্যবহারকারীও পেজের মালিক বা যিনি পরিচালনা করছেন, সেই বিষয়ে নিশ্চিত হতে পারবেন৷
:- প্রথমআলো থেকে সংগ্রহীত