Jun 25, 2015


ই-কমার্স ওয়েবসাইট তৈরির ক্ষেত্রে কিছু টিপস


ই-কমার্স খুব প্রতিদ্বন্দ্বীতামূলক ক্ষেত্র, যেখানে একজন ভিজিটর/কাস্টমার আপনার ওয়েবসাইটে এক ক্লিক বেশি ব্যয় করার কারন হিসেবে অন্য জায়গায় চলে যেতে পারে। তাই অধিক কাস্টমার এবং অধিক সেলিং এর জন্য ই-কমার্স ওয়েবসাইটটি যতটা সম্ভব রিস্পন্সিভ এবং ইউজার ফ্রেন্ডলি হতে হবে। তাই আপনাদের জন্য এই টিউনে ই-কমার্স ওয়েবসাইট তৈরির ক্ষেত্রে কিছু টিপস নিয়ে আলোচনা করবো।

ই-কমার্স ওয়েবসাইটে বড় ধরনের সাইন-আপ ফর্ম ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন। ই-কমার্স সাইটে প্রোডাক্ট সেলিং এর জন্য একজন কাস্টমারের নাম, ঠিকানা, ফোন নাম্বার, ইমেইল এবং পাসওয়ার্ড থাকলেই যথেষ্ট। আর এই জন্য ওয়েবসাইটের সাথে কাস্টমারের সুন্দর যোগাযোগ মাধ্যম ও ব্যবহার বৃদ্ধির জন্য কল-টু-অ্যাকশান বাটনের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
গেস্ট বাইয়িং অপশন রাখুন। অনেক কাস্টমারই আছে যারা প্রাথমিক পর্যায়ে রেজিট্রেশন করে প্রোডাক্ট কিনতে পছন্দ করে না। তাই তাদের জন্য গেস্ট বাইয়িং এর ব্যবস্থা রাখুন এবং শেষে প্রোডাক্ট কনফার্ম করার সময় ছোট আকারে রেজিস্ট্রেশনের অপশন দিতে পারেন। এই পদ্ধতি ব্যবহারে নতুন কাস্টমাদের ওয়েবসাইটির প্রতি প্রতিক্রিয়া ভালো থাকে।
ওয়েবসাইটের সার্চ অপশনে কী-ওয়ার্ড অনুযায়ী সাজেস্ট এর ব্যবস্থা রাখুন। এতে করে কাস্টমার তার কাঙ্ক্ষিত প্রোডাক্ট দ্রুত খুঁজে পাবে। প্রোডাক্ট ভিউয়ের সময় রিলেটেড প্রোডাক্ট গুলো সাজেস্টে রাখতে পারেন, তাতে কাস্টমার একাধিক প্রোডাক্টও পছন্দ করতে পারে। তাই কাস্টমারদের সুবিধার্থে এই বিষয় গুলোর ব্যবস্থা রাখুন।
কাস্টমারের প্রোডাক্ট পছন্দের পর অর্ডার কনফার্মেশনের স্টেপ গুলোকে অল্প এবং সহজ করুন। সেই জন্য ব্রেয়ার্ডক্রাম্ব নেভিগেশন ব্যবহার করতে পারেন। ব্রেয়ার্ডক্রাম্ব নেভিগেশনের মাধ্যমে কাস্টপমার র্ডার কনফার্মেশনের স্টেপ গুলোে সমন্বিতভাবে এক স্থানে পায়, এবং কোন ভুল সংশোধনের জন্য পেছনে যাওয়াও খুব সহজ হয়।
সঠিকভাবে কনটেন্ট ম্যানেজমেন্ট এবং পার্সনাল ডিটেইলস সিকিউরিটি ব্যাতিত কোন ই-কমার্স ওয়েবসাইটই পরিপূর্ণতা পায় না। তাই ওয়েবসাইটে পরিপুর্ন সিকিউরিটির ব্যবস্থা থাকলে, কাস্টমার আত্মবিশ্বাসের সাথে প্রোডাক্ট কিনতে পারে। সেই ক্ষেত্রে ওয়েবসাইটের জন্য ট্রাস্ট সার্টিফিকেট যেমনঃ হ্যাকার সেফ, ভেরিসাইন এবং এসএসএল সার্টিফিকেটের ব্যবস্থা করতে পারেন।

0 comments:

Post a Comment