Jun 25, 2015


বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ই-কমার্স

4

ইন্টারনেট প্রযুক্তি আমাদের জীবনকে আরও অনেক সহজ করে দিয়েছে। ইন্টারনেটের মাধ্যমে ঘরে বিভিন্ন তথ্য পাওয়ার পাশাপাশি ব্যবসা-বানিজ্যের প্রচার ও প্রসার ঘটছে দ্রুত। বর্তমান সময়ে আমাদের দেশে অনলাইনে কেনাকাটা আনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। পন্যের সহজ লভ্যতা ও সহজে কেনাকাটার কারনে প্রতিনিয়ত মানুষ আকৃষ্ট হচ্ছে অনালাইনে
কেনাকাটার প্রতি, আর তার সাথে সাথে বাড়ছে ই-কমার্স বিজনেসের চাহিদা। বাংলাদেশে একটা সময় অনেকের মধ্যে অনলাইনে কেনাকাটায় লেনদেন ও পন্য পাওয়া নিয়ে সন্দেহ কাজ করতো। কিন্তু ই-কমার্সের জনপ্রিয়তা এবং প্রতিষ্ঠান গুলোর সঠিক সার্ভিসের কারনে সেটা আর এখন নেই।

শপিং মলে না গিয়ে সময় বাঁচিয়ে ঘরে বসে কেনাকাটার সুবিদ্ধার্থে ই-কমার্সের চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশের ব্যস্ততম নগরী যেমনঃ ঢাকার কথা চিন্তা করলেই বুঝতে পারি, যেখানে জ্যম ঠেলে বাইরে গিয়ে কেনাকাটা করা কতটা কষ্টকর। অন্যদিকে অনলাইনের মাধ্যমে ঘরে বসেই যেখানে পছন্দমত পন্য অর্ডার করে ডেলিভারি পাচ্ছেন, সেখানে বাইরে গিয়ে কষ্ট করতে কে চাইবে। তাই কম পরিশ্রম ও কম সময়ে ঘরে বসে কেনাকাটার জন্য অধুনিক সমাজের অধিকাংশ মানুষ কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট সংযোগ ব্যবহার করে ই-কমার্সের মাধ্যমে ক্রয় করছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পন্য সামগ্রী।

1আমাদের দেশে ১৭ থেকে ৩৫ বছর বয়সীদের কাছে ই-কমার্সের চাহিদাটা বেশি। বিশেষ করে বর্তমান ইয়াং জেনারেশন রকমারি পোশাক, কসমেটিক ও বিভিন্ন ইলেকট্রনিক পন্য ক্রয়ের জন্য বেঁছে নিচ্ছে ই-কমার্স। তাছাড়া ই-কমার্সের মাধ্যমে বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় পন্য ও বেবি ফুড সহজলভ্য হওয়ায় বর্তমান মায়েরাও ই-কমার্সকে প্রাধান্য দিচ্ছেন। ই-কমার্সের কেনাকাটায় একে অন্যকে দেখে প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে ভোক্তা। যেমনঃ আমি মাঝে মধ্যেই ই-কমার্সের মাধ্যমে টি-শার্ট ও ইলেকট্রনিক গ্যাজেড কিনে থাকি, পরবর্তিতে দেখলাম আমাকে দেখে আমার কিছু বন্ধুরাও ই-কমার্স থেকে কেনাকাটায় উৎসাহী হয়েছে।

2
বাংলাদেশে ই-কমার্সের জনপ্রিয়তার পাশাপাশি অনেকেই আগ্রহী হচ্ছে এই বিজনেস করার প্রতি। ই-কমার্স সম্পৃক্ত জ্ঞান, কিছু মূলধন, ওয়েবসাইট, পন্য এবং মার্কেটিং এর মাধ্যমে শুরু করা যায় এই বিজনেস। ই-কমার্স বিজনেসকে নিয়ন্ত্রণ করা যায় কম্পিউটার ও ইন্টারনেটের মাধ্যমে, প্রয়োজন হয় না বড় ধরনের কোন অফিস ও অধিক সহকর্মির। তাই সহজ ও কম পরিশ্রম এবং ঘরে বসে বিজনেসটি পরিচালনা করা যায় বলে অনেকেই ক্যারিয়ার গড়ছেন ই-কমার্সের মাধ্যমে। ই-কমার্স বিজনেসে সফল হয়ে নিজের ভালো অবস্থান তৈরি করেছে এইরকম মানুষের সংখ্যা আমাদের দেশে অনেক রয়েছে।


5ই-কমার্স বিজনেস বৃদ্ধির সাথে সাথে বাড়ছে কর্মসংস্থান, স্বাবলম্বী হয়ে উঠছে অনেক মানুষ। ঘরে বসে বেকারত্ব মোচনের পথ হিসেবে ই-কমার্স বিজনেস চমৎকার একটি মাধ্যম। তাই আমদের এই জনবহুল বাংলাদেশে অনেক তরুণরাই বেঁছে নিচ্ছে ই-কমার্স বিজনেসকে। ই-কমার্সের মধ্যমে লোকজন যেমন উপকৃত হচ্ছে পাশাপাশি উন্নতি বয়ে আনছে দেশের জন্য। তাই আমাদের বাংলাদেশে ই-কমার্স নিয়ে ভবিষ্যতে অপার সম্ভাবনা রয়েছে। এই ই-কমার্স বিজনেসের মাধ্যমে দেশের বড় একটা গোষ্ঠী সফলতা অর্জন করতে পারলে অর্থনৈতিক দিক দিয়ে বাংলাদেশের অবস্থানও অনেক দূর এগিয়ে যাবে।

0 comments:

Post a Comment