Jun 25, 2015


ই-কমার্স বিজনেস শুরুর ক্ষেত্রে ৩টি লক্ষণীয় বিষয়

পণ্য নির্বাচনের ক্ষেত্রে

1
পন্য নির্বাচন ই-কমার্স বিজনেসের অনেক গুরুতপুর্ন একটা বিষয়। কি পন্য নিয়ে বিজনেস শুরু করবেন? কেমন পন্য নিয়ে বিজনেস শুরু করবেন? কি ধরনের পন্য নিয়ে বিজনেস শুরু করবেন? এই গুলো খুব বিচক্ষণতার সাথে দেখতে হবে। ই-কমার্স বিজনেসের পন্য গুলো অবশ্যই যেন গুণগতমান সম্পন্ন হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। অন্যদিকে পন্য গুলোর লোকাল
মার্কেটের সাথে তুলনা সাপেক্ষে সুলভ একটি মূল্য নির্ধারন করে দিতে হবে। অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে পন্য গুলোর ব্র্যান্ড, কোয়ালিটি এবং দাম যেন একটু ইউনিক হয়। কারন কাস্টমারের বাসার পাশের দোকানে যে সাধারন পন্য পাওয়া যায়, আর আপনিও যদি ওই পন্য গুলোই ই-কমার্স বিজনেসের জন্য নির্বাচন করেন, তাহলে কাস্টমার কিন্তু কেনার জন্য অবশ্যই বাসার পাশের ওই দোকানকেই প্রাধান্য দেবে। তাই ই-কমার্স বিজনেসে পন্য নির্বাচনের ক্ষেত্রে অবশ্যই অনেক খেয়াল রাখতে হবে।

ওয়েবসাইট তৈরির ক্ষেত্রে

3
ই-কমার্স বিজনেসের জন্য ওয়েবসাইট তৈরির ক্ষেত্রে অনেক গুলো বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। কারন ওয়েবসাইটই হচ্ছে মাধ্যম, যার মাধ্যমে আপনার ই-কমার্স বিজনেসের সাথে কাস্টমারদেরকে সংযুক্ত করবে। অবশ্যই যেন ওয়েবসাইটটি দেখতে এবং আকর্ষণীয় হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। আবার অতিরিক্ত আকর্ষণীয় করতে গিয়ে ওয়েবসাইটটি যেন অনেক ভারি হয়ে না যায় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। কারন, যখন একজন ভিজিটর একটু দুর্বল গতির ইন্টারনেট নিয়ে আপনার সাইট ভিজিট করবেন তখন সে কিছুটা বিরক্তবোধ করতে পারে। তাই ওয়েবসাইটের ডিজাইন ও কালার নির্বাচনে বিশেষ ভাবে খেয়াল রাখুন, যেন সবার কাছেই ওয়েবসাইটটি সুন্দর লাগে এবং স্বাচ্ছন্দ্য নিয়ে সবাই ভিজিট করতে পারে। আর অবশ্যই যেন ওয়েবসাইটটি রিস্পন্সিভ হয় এবং সকল ডিভাইস এবং ব্রাউজার সাপোর্টেড হয় সেই বিষয়টিও লক্ষ্য রাখতে হবে।

মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে

2
ই-কমার্স বিজনেসে মার্কেটিং খুব গুরুত্বপূর্ণ। যেহেতু বিজনেসটি অনলাইন ভিত্তিক এবং অসংখ্য ই-কমার্স বিজনেসের ভিড়ে কাস্টমারদের কাছে আপনার বিজনেসটি সম্পর্কে জানানোর জন্য প্রাথমিক অবস্থায় অনেক মার্কেটিং প্রয়োজন। বিভিন্ন মাধ্যমে আপনার ই-কমার্স বিজনেস সম্পর্কে আকর্ষণীয় ভাবে পন্যের সম্পর্কে উপস্থাপনের মাধ্যমে মার্কেটিং করতে হবে। মনে রাখবেন যত বেশি মার্কেটিং তত বেশি ভিজিটর এবং তত বেশি পরিমান সেল। তাই সোশ্যাল মিডিয়া গুলোতে সাধারন ভাবে মার্কেটিং এর পাশাপাশি অ্যাড গুলোকে প্রোমোট করুন। বিভিন্ন পপুলার ওয়েবসাইট গুলোতে আপনার ই-কমার্স সাইটটির জন্য অ্যাড পোষ্ট করুন। এতে প্রাথমিক পর্যায়ে কিছুটা অর্থ খরচ হলেও, অল্প সময়ে অনেক ভিজিটর বা কাস্টমার আপনার বিজনেস সম্পর্কে জানতে পারবে।

0 comments:

Post a Comment