কাজ সঠিকভাবে না বোঝা
অনেক মানুষ আছে যারা সঠিকভাবে না জেনে বুঝেই, সহজ এবং দ্রুত ইনকামের আশায় ই-কমার্স বিজনেস শুরু করে। তার ফল হিসেবে বিজনেসের বিভিন্ন কাজ কিভাবে করবে তা বুঝে উঠতে পারে না। যেহেতু ই-কমার্স বিজনেস সম্পুর্ন অনলাইন ভিত্তিক, তাই এই বিজনেস করার জন্য অনেক জ্ঞান এবং কিছু অভিজ্ঞতার প্রয়োজন। পন্য কোথা থেকে এবং কিভাবে আনতে
হবে, কিভাবে মার্কেটিং করতে হবে, অর্ডার কিভাবে গ্রহণ করতে হবে, পন্যের ডেলিভারি কিভাবে দিতে হবে, ম্যানেজমেন্ট টিমকে কিভাবে হ্যান্ডেলিং করতে হবে ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে সঠিকভাবে জানতে হয়। আর এই বিজনেস অনলাইন ভিত্তিক হওয়ায় অনেক প্রতিদ্বন্দ্বিতা রয়েছে, তাই সঠিকভাবে সব কিছু করতে না পারলে ই-কমার্স বিজনেসে সফল হওয়া অনেক কষ্টকর হয়ে যাবে।বিজনেস প্ল্যান না থাকা
প্ল্যানিং ছাড়া ই-কমার্স বিজনেস শুরু করলে ব্যার্থ হওয়াটাই স্বাভাবিক। ট্র্যাডিশনাল বিজনেসের থেকে ই-কমার্স বিজনেস সহজ হলেও, এই বিজনেসের জন্য সঠিক পরিকল্পনার কোন বিকল্প নেই। মূল পরিকল্পনার পাশাপাশি ই-কমার্স বিজনেসে আপনি কি বিক্রি করছেন, মার্কেটে কিসের চাহিদা রয়েছে, পণ্যের সঠিক দাম নির্ধারন, কাস্টমারদের টার্গেট সম্পর্কে জানা, বিভিন্ন সমস্যা ও তার সমাধান করা, আপনার বিজনেসের দুর্বলতা ও তা পূরণ করা, আপনার প্রতিদ্বন্দ্বী ও তার দুর্বলতা সম্পর্কে জানা ইত্যাদি বিষয় গুলোও বিজনেস প্ল্যানের অন্তর্ভুক্ত। তাই ই-কমার্স বিজনেসে সফলতার জন্য পরিপুর্ন বিজনেস প্ল্যান থাকা প্রয়োজন।
উপযুক্ত মার্কেটিং না করা
শুরু করলেই কাস্টমার আসবে এই ধারনা ই-কমার্স বিজনেসের জন্য না। উপযুক্ত মারকেটিং ছাড়া এই বিজনেসে একটুও আগানো সম্ভব না। ই-কমার্স বিজনেসে কাস্টমার পাওয়ার জন্য অবশ্যই সুন্দর একটি মার্কেটিং পরিকল্পনা প্রয়োজন। আপনার সাইটকে এনালাইজিং এর মাধ্যমে ভিজিটর সম্পর্কে ধারনা নিতে হবে, জানতে হবে এসইও এবং পিপিসি এর মধ্যে পার্থক্য, জানতে হবে গুরুত্বপূর্ণ সোশ্যাল মিডিয়া গুলো সম্পর্কে, রিসার্সের মাধ্যমে জানতে হবে মার্কেটিং এর সকল খুঁটি নাটি বিষয়। এছাড়া মার্কেটিং এক্সপার্টদের সহযোগিতায় আপনার ই-কমার্স বিজনেসকে সঠিকভাবে মার্কেটিং করতে হবে।
সঠিক ই-কমার্স প্যাল্টফর্ম না থাকা
আপনার ই-কমার্স বিজনেসটি সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য ওয়েবসাইটটি সঠিক প্ল্যাটফর্মে থাকা প্রয়োজন। আর ই-কমার্স বিজনেস সঠিক প্ল্যাটফর্মে না থাকা বলতে বোঝায় বিজনেসের জন্য অনুপযুক্ত ওয়েবসাইট, আপডেট না থাকা, ভালো ডেভলপমেন্ট না থাকা, চাহিদা অনুযায়ী কাস্টমাইজড না থাকা, প্রফেশনাল সাপোর্ট না থাকা ইত্যাদি। ই-কমার্স বিজনেসকে কাস্টমাদের সাথে কানেক্টেড করার জন্য চাই উপযুক্ত একটা প্ল্যাটফর্ম বা ওয়েবসাইট। ওয়েবসাইটের জন্য প্রয়োজন সঠিক ডোমেইন ও হোস্টিং এবং প্রতিনিয়ত সাপোর্ট ও আপডেট করার মাধ্যমে প্ল্যাটফর্মটিকে সকলের কাছে তুলে ধরতে হয়।
দুর্বলভাবে পন্য উপস্থাপন
ই-কমার্স বিজনেসে কাস্টমার মূলত আগ্রহী হয় পন্যের সুবিধা ও গুণগতমান দেখে। তাই সঠিভাবে পন্যের উপস্থাপন করতে না পারা বিজনেসে ব্যার্থতার অন্যতম কারন। পন্য সম্পর্কে সঠিকভাবে উপস্থাপনের ক্ষেত্রে সঠিক সাইজের সুন্দর ছবি, ম্যানুফেক্সারিং সম্পৃক্ত তথ্য, কালার, সাইজ, সুবিধা ও গুনগতমানসহ সকল বিষয় অন্তর্ভুক্ত থাকবে। লিখিত বিবরনের পাশাপাশি পন্যের ভিডিও রিভিও তৈরির মাধ্যমে কাস্টমাদেরকে আরও বেশি আকর্ষণ করা সম্ভব। ই-কমার্স বিজিনেসে কাস্টমার যেহেতু কেনার আগে পন্য সরাসরি দেখতে পায় না, তাই সঠিক উপস্থাপনের মাধ্যমেই কাস্টমারদেরকে কেনার প্রতি স্বতঃস্ফূর্ত মনোভাব যোগায়।
0 comments:
Post a Comment